পাশপোর্ট হারিয়ে গেছে ও মেয়াদও শেষ তাহলে EXPIRED অপশন সিলেক্ট করবো না LOST/STOLEN সিলেক্ট করবেন? e-passport help
উপরোক্ত সমস্যায় আমিও ভুগেছিলাম। আমি ১৫ দিনে কিভাবে পাশপোর্ট হাতে পেলাম দালাল ছাড়া তা শেয়ার করিতেছি। আপনার পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে এবং মেয়াদও শেষ মানে দুটো ঘটনাই ঘটেছে তাহলে আপনাকে LOST/STOLEN সিলেক্ট করতে হবে।
কি কি কাগজ পত্র লাগবেঃ
১। থানায় গিয়ে পাসপোর্ট হারানোর জিডি করবেন। জিডির একটা কপি নিবেন। ওখানে জিডির নাম্বার ও তারিখ দেওয়া থাকে ওটা পসপোর্ট এর ফর্ম পূরনের সময় লাগবে। জিডির একটা ফটোকপি রাখবেন পরবর্তিতে ভিসার সময় লাগতে পারে।
২। পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আগের পাসপোর্ট এর তথ্য সহ আগের পাসপোর্ট এর এম আর পি স্লিপের জন্য আবেদন করবেন। আবেদনের নমুনা আমার ওয়েব সাইটের ব্লগ পোস্টে আছে। নমুনার জন্য ক্লিক। এটা আপনার ই পাসপোর্ট আবেদনের সাথে দিতে হবে।
৩। আগের পাসপোর্ট থেকে কোন সংশোধনি থাকলে শুধু একটা অঙ্গিকারনামা হাতে পুরন করবেন অথবা টাইপ করে দিবেন। অঙ্গিকারনামা ফর্ম টি পাসপোর্ট অফিসে অথবা পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশের যে কোন দোকানে পাবেন। অঙ্গিকারনামা ছাড়া অন্য কোন ফরম বা চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন দরকার নেই।
৪। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিক সনদ। (উপজেলা মেয়র হলে মেয়রের কাছ থেকে নিতে হবে।
৫। নিজের মুল জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফটোকপি।
৬। আগের পাসপোর্ট এর ফটোকপি। না থাকলে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট নাম্বার বের করবেন। এর পর এম আর পি স্লিপের জন্য আবেদন করবেন।
৭। পাসপোর্ট এর বাবা মায়ের নাম আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে যেভাবে দেওয়া আছে ঠিক সেভাবে পুরন করবেন। যেমন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে আপনার পিতার নাম আছে ইউনুস আলী। আবার আপনার পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রে ইউনুস আলী সেখ তাহলে দিতে হবে ইউনুস আলী। ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে করলে ভালো। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানা স্বামীর ঠিকানা দিতে হবে।
৮। আমার ক্ষেত্রে কোন পুলিশ ভেরিফিকেশন হয় নাই।
৯। পেশার ক্ষেত্রে পেশার যেকো ডকুমেন্টস দিলেই হবে। যেমন আইডি কার্ড।
Post information
- Category: